Leadআন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার বন্ধু জানেন?

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে সরকার গঠন করেছে লেবার পার্টি।  গতকাল শুক্রবার রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঋষি সুনাক। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজার সঙ্গে দেখা করেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। তাকে সরকার গঠন করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছেন লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনার। রেনারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডেভিড ল্যামি।

খবরে বলা হয়েছে, ৫১ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ এই লেবার পার্টির নেতার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বন্ধু। ডেভিড ল্যামির পূর্বপুরুষ লাতিন আমেরিকার গায়ানায় ক্রীতদাস ছিলেন। সেই পরিবার থেকেই যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকদের একজন হয়ে উঠেছেন তিনি।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডেভিড ল্যামি লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সময় তিনি ৪০ বারের বেশি বিদেশ সফর করেছেন।

১৯৭২ সালে, লন্ডনে ডেভিড ল্যামির জন্ম। তার মা-বাবা দুজনই গায়ানা থেকে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। ল্যামির বয়স যখন মাত্র ১২ বছর, তখন স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে ছেড়ে চলে যান তার বাবা। এরপর কখনো বাবাকে দেখেননি তিনি।

উত্তর লন্ডনের টটেনহামে ল্যামির বেড়ে ওঠা। ২০০০ সাল থেকে পার্লামেন্টে এই এলাকার প্রতিনিধিত্বও করছেন তিনি। মাত্র ২৭ বছর বয়সে এখান থেকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন ল্যামি। সেই সময় তিনি ছিলেন পার্লামেন্টের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য। এরপর প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টি যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে এত দিন ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ল্যামি। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুলে ভর্তি হন ডেভিড ল্যামি। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃষ্ণাঙ্গ অ্যালামনাইদের একটি অনুষ্ঠানে বারাক ওবামার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। ২০০৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার প্রচার-প্রচারণা নিয়ে একাধিক ছবি এঁকেছিলেন ল্যামির স্ত্রী নিকোলা গ্রিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করার পক্ষে ডেভিড ল্যামি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে আসার পর এর সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি বরাবরই ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও চান তিনি।