Leadসংবাদ শিরোনাম

যেকোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ

PMঢাকা জার্নাল : প্রাকৃতিক দূর্যোগের পাশাপাশি মানুষ সৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবিলার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেকোনো মূল্যে জঙ্গি দমন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখারও ঘোষণা দেন তিনি। জনসেবা নিশ্চিত করতে এবং মান বাড়াতেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন বাহিনীর সুযোগ-সুবিধা অনেক বৃদ্ধি করেছি, যাতে তারা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্তেও সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব চাহিদা মেটানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় এসব মেটানো হচ্ছে। আপনাদের এখন দায়িত্ব জনগণকে স্বস্তি দেওয়া। তাদের প্রাপ্য সেবা নিশ্চিত করা। দায়িত্ব পালনে কোনো ধরণের গাফিলতি সহ্য করবো না, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অফিস করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে যান। মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মুসতাকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ উপস্থি ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নিরক্ষরমুক্ত একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই। আর সে কারণে প্রয়োজন সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরগুলোর দায়িত্ব যেকোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ ম্যান্ডেট দিয়েছে টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের দমন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধী ও মানবাতা বিরোধী অপরাধের বিচার, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার এবং চট্টগ্রামের ১০ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলাসহ বিভিণ্ন চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার নিশ্চিত করা ক্ষেত্রে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি।

শেখ হাসিনা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। বলেন, গর্মেন্টস শিল্প এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২০১০ সালে শিল্পাঞ্চল পুলিশ গঠন করেছি। জাতীয় চোরাচালান কমিটি গঠন করেছি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের চোরাচালান এলাকায় ১১৯টি বর্ডার অপারেশন পোস্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ৫০টি পোস্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

জেলা কারাগারগুলেতে চাপ তমাতে পদক্ষেপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও কাসিমপুর মহিলা কারাগারে ডে কেয়ার সেনটর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্য কারাগারগুলেতেও ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণ করা হবে।

১৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কাই লিফট ও পানিবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন ধরণের আধুনিক অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। চীন সরকার থেকে অনুদান হিসেবে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রী মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, বিডিআর পূণর্গঠন করে বিজিবি গঠন, চট্টগ্রাম বহি:নোঙ্গরকে দলদূস্যতামুক্ত ঘোষণা করা, প্রতিবেশি দেশ ভরতের মধ্যে বিদ্যমান সীমান্ত বিরোধ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়াসেহ বিভিন্ন পক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১৩, ২০১৪।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.