সাইফ-কারিনার ভিন্ন বয়ানে হামলা নিয়ে উঠছে বিতর্ক
বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের হামলার ঘটনা নিয়ে নাটকীয়তা যেন থামছেই না। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ অভিনেতার বয়ান নিয়েছেন। এর আগে সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের বয়ান নেয়া হয়েছে। কিন্তু দুজনের বয়ানে কিছু অসংগতি পাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া এই মামলাকে ঘিরে আরও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে শাইফ আলীকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস নাও বলছে, সাইফ আর কারিনার বয়ান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সাইফের জবানবন্দি নিয়েছে। সাইফের সঙ্গে তার স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের বয়ানে অসংগতি ধরা পড়েছে। অভিযুক্ত সাইফ পুলিশকে জানিয়েছেন যে হামলার রাতে তিনি তার আবাসনের ১১তলায় ছিলেন। অভিনেতা বয়ানে বলেছেন, ১৫ জানুয়ারি মধ্য রাতে ন্যানি এলিয়ামা ফিলিপের চিৎকার শুনে তিনি ও কারিনা জেহর (জাহাঙ্গীর) ঘরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে কারিনা তার বয়ানে বলেছেন, সাইফ একা জেহর ঘরে গিয়েছিলেন। তিনি পরে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে।
সাইফ আলী খান মামলায় শরিফুল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকবেন। সাইফের ওপর হামলাকারীর ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বান্দ্রা আদালতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার আবেদন করেছিল। আদালত তার অনুমতি দিয়েছেন।
সাইফের ওপর হামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় লিঙ্গুরকর আদালতকে জানিয়েছেন, সাইফের ওপর যে অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছিল, তা তারা উদ্ধার করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোথা থেকে এবং কার কাছ থেকে অস্ত্রটি কিনেছিলেন, তা তদন্ত করা বাকি আছে বলেও জানিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় লিঙ্গুরকর বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির 'ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রসেস' করার প্রয়োজন আছে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে জুতা পরেছিলেন, তা উদ্ধার করা এবং তার সাইজ ম্যাচ করা এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হামলাকারীর সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল সেটাও পুলিশ তদন্ত করবে। শরিফুল তদন্তে কোনো রকম সাহায্য করছেন না। কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, সে বিষয়ে কিছুই বলছে না।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসাদ যোশী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশকে তদন্ত করতে হবে, কার সাহায্যে শরিফুল 'বিজয় দাস'-এর নামে আধার ও প্যান কার্ড বানিয়েছিলেন। আর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ব্যক্তির সঙ্গে শরিফুলের মুখ ম্যাচ করানোর প্রয়োজন আছে।অন্যদিকে, শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শেরখান তিনি একাধিক প্রশ্ন সামনে আনছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অভিনেতার পরিবার কেন পুলিশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেনি। পুলিশকে রিপোর্ট করতে অভিনেতার পরিবার কেন ৪৫ মিনিট সময় নিল। কোনো অভিনেতার পরিবার তাদের প্রতিবেশীদের এ বিষয় জানাইনি এমনি তাদের সাহায্য নেয়নি।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে থাকেন সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান। ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে গভীর রাতে সেই বাড়িতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই দ্রুত তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তারপর তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে। এরপর পাঁচদিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা।
Comments