৩০ বছর আগে নির্মিত সেতুর নেই সংযোগ সড়ক
চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের ৩০ বছর পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের নলসন্ধা হাটের পাশে রুপনাই বিলের মাঝখানে নিঃসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রীজটি।
৩০ বছর আগে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে পাশে জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সুরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। বর্তমানে ব্রীজটিও ধ্বংসের পথে।
নলসন্ধা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম মিয়া অভিযোগ করেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের লোকজন এই এলাকাকে রাজাকার পাড়া আখ্যায়িত করায় এখানে এই ব্রীজের সংযোগ সড়ক সহ কোন উন্নয়ন হয়নি। এই অঞ্চলের মানুষ সব চেয়ে বেশি অবহেলিত।
সলপ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নাঈম উদ্দিন জানান, এই ব্রীজের সংযোগ সড়ক না থাকা সলপ ইউনিয়ন পরিষদে ১০ মিনিটের রাস্তা আমাদের ১ ঘন্টা ঘুরে যেতে হয়। এই ব্রীজের সুবিধা না পাওয়ায় আমরা বেশি অবহেলিত। ব্রীজের রাস্তা হলে শাহজাদপুর থেকে সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় যাওয়া সব চেয়ে বেশি সুবিধা হতো। এ ব্রীজের রাস্তা না থাকার কারনে রাজাপুর, নওকৌড়, ডিগ্রিচর, চরডিগ্রিচর, নলসন্ধা সহ আশে পাশের ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছ।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বিগত ৩০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রীজটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক তৈরি হয়নি। ফলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এ দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
এই সেতুটি যে জায়গায় অবস্থান করছে এটি তিনটি উপজেলার বর্ডার উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় সেখানে রাস্তা করা সম্ভব না। তবে ওখানো ছোট ব্রীজে আর কাজ হবে না ওখানে ওয়াই প্যাটার্ন ব্রীজ নির্মান করতে হবে। ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল টিমের সাথেও কথা হয়েছে।
Comments