শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দিয়ে বাংলা ও ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ৬টি ধারায় মানবতাবিরোধী আপরাধ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এসব অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোনায়া থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পলাতক বা আত্মগোপেন আছেন, তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিত আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া গেল। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই তাঁদের বিচার হবে।
এরআগে গতকাল সোমবার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তজা মজুমদার এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বলা হয়, ২৪ জুনের মধ্যে তাঁদের আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
এ সময় আদলতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন তুলে ধরে জানান, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান ভারতে অবস্থান করছেন। পরে ট্রাইব্যুনাল বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও তাঁরা হাজির না হলে তাঁদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ করে বিচার শুরুর প্রক্রিয়া চলবে।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১৪০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তাঁর নির্দেশ, উসকানি, প্ররোচনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এ ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
Comments