আসামে ১৩২ বছরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আসামের শিলচরে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা বৃষ্টিতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, অরুণাচলসহ কয়েকটি রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১ জুন) ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে আসামে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের দ্বিতীয় বড় শহর শিলচরে রেকর্ড ৪১৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৮৯৩ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। টানা বৃষ্টিতে পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইম্ফালে চার জায়গায় বাঁধ ভেঙে ঢুকেছে নদীর পানি।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, উচ্চ-বায়ুমণ্ডলীয় ঘূর্ণবাতীয় প্রবাহ ও নিম্ন-স্তরের ট্রফের একটি সংমিশ্রণ অস্থির আবহাওয়া ধরণটিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। উত্তর প্রদেশ থেকে বিস্তৃত হওয়া একটি ট্রফের সঙ্গে সম্পর্কিত আবহাওয়ার একটি বিশেষ তীব্র অঞ্চল আসামের মধ্যাঞ্চল থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ৩১ মে মিজোরামে স্বাভাকের চেয়ে ১১০২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত পাঁচ দিনে মেঘালয়ে অতি ভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ত্রিপুরায় আকস্মিক বন্যায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মণিপুরে উপচে পড়া নদীর পানিতে ও বাঁধ ভেঙে দেখা দেয়া বন্যায় ৩৩৬৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
বন্যা মোকাবিলায় দুর্গত রাজ্যগুলোতে চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম। যোগ দিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী। এরইমধ্যে মণিপুর থেকে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিকিমে আটকা পড়েছেন ১ হাজার ২০০ বেশি পর্যটক। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
Comments