বছরের প্রথম থেকেই লক্ষ্য অর্জনে যে কৌশলগুলো মানতে পারেন
নতুন বছর মানেই নতুন প্রতিজ্ঞা। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরই আমরা সেগুলো ভুলে যাই। এই বছর যদি নিজের লক্ষ্য অর্জনের পথে থাকতে চান তাহলে কিছু কৌশল মেনে চললে কাজে লাগানো যায়, তাহলে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা ছয়টি কৌশল মেনে চলতে বলেছেন যা নতুন বছরে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। কৌশলগুলো দেয়া হলো:
আপনার লক্ষ্যকে আনন্দদায়ক করুন: নিজের লক্ষ্য পূরণের প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করতে হবে। কেবল সিদ্ধ সবজি বা একঘেয়ে শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজের উপর অত্যাচার করবেন না। যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া লক্ষ্য হয়, তাহলে মশলাদার ওটস বা ফলের চাট ট্রাই করতে পারেন। যদি ফিটনেসে মনোযোগ দিতে চান, তাহলে জুম্বা ক্লাস বা ব্যাডমিন্টন খেলার মতো আনন্দময় কিছু বেছে নিন।
লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে হবে: স্বাস্থ্য ভালো রাখা কিংবা টাকা সঞ্চয় করার মতো অস্পষ্ট লক্ষ্য পরিহার করুন। এর বদলে, লক্ষ্য স্পষ্ট করতে হবে। যেমন, মার্চের মধ্যে ৩০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার দৌড়ানো বা ঈদের আগেই ১ লাখ টাকা সঞ্চয় করার লক্ষ্য ঠিক করুন।
পরিকল্পনা করে ধাপে ধাপে এগোনো: পরিকল্পনা ছাড়া লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন। লক্ষ্যকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ করুন। যেমন, ঘরে রান্না করার লক্ষ্য থাকলে, সপ্তাহে ১-২টি সহজ রেসিপি শেখার মাধ্যমে শুরু করুন। আপনি যখন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধাপে ধাপে আগাবেন তখন কাজ সহজ হয়ে যাবে।
চ্যালেঞ্জ বিবেচনা: যেকোনো কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তেই হয়। জীবন সব সময় একভাবে যায় না। তাই জীবনে চলার পথের বাধাগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে। যেমন আপনি নিয়মিত জিম করতে চান তবে দেখলেন জিমের প্রশিক্ষক অনুপস্থিত । এ সময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেই ইউটিউবের ভিডিও দেখে বাড়িতে শরীরচর্চা করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য ফল, বাদাম বা কাটাকাটি শাকসবজি মজুত রাখুন।
সহযোগী বন্ধু নির্বাচন: কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে আপনার সাথে প্রতিজ্ঞা পূরণের যাত্রায় শামিল করুন। যেমন, সকালের হাঁটায় আপনার ভাই বা বোনকে নিয়ে যান। লক্ষ্য পূরণ করতে পার্টনার থাকলে, তা আরও আনন্দদায়ক হয়।
ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করা: প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন বাড়িতে রান্না করেছেন? মাসে ১,০০০ সঞ্চয় করেছেন? এমন ছোট ছোট অর্জনগুলোকে নিজেকে উপহার দিন। পছন্দের ওয়েবসিরিজ কিংবা চকলেট খেয়েও উদযাপন করতে পারেন।
লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অগ্রগতি স্থায়িত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভুল করেন, তবুও পথ থেকে সরে আসবেন না। একটু পরিকল্পনা, ধৈর্য আর ইতিবাচক মানসিকতাই ২০২৫ সালকে আপনার সেরা বছরে পরিণত করতে পারে।