চাঁদপুরে চাঁদা না দেয়ায় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে পিটিয়ে জখম

শিমুল অধিকারী সুমন, চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলার ফকিরবাজার রোডের মাথায় ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। বর্তমানে আহত অবস্থায় মিলন চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
২৮ মে বুধবার বিকালে মিলনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় দেখা যায়। এর আগে সকালে হাজীগঞ্জ থেকে সদরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিলনকে রেফার করা হলে সদর হাসপাতালের আরএমও আসিবুল আহসান তাকে ভর্তি নিয়ে নেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে আহত মিলন বলেন, আমি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল করি। আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ কোন চাঁদাবাজকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দিতে। আমি একজন লাইসেন্সকৃত ঠিকাদার। মঙ্গলবার সকালে আমি ফকিরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের এখানে কাজের জন্য বালু ফেলতে গেলে একাধিকবার জেল খাটা আসামী নাসির হোসেন(৪০) আমার কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। পরে আমি চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে সে আমাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাকে ভেলচা ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরসাথে সোহেল, খোকনসহ অন্যরাও আমার শরীরে মেরে নীলাফুলা জখম করে। স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী করছি।
মিলনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা বলেন, আমার ৩টি ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। চাঁদা না পেয়ে আমার স্বামীকে, নাসিরসহ ওই সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। একই সাথে আমার স্বামীর যাতে ভবিষ্যতে সুন্দর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত হয় সে দাবী জানাচ্ছি। তার কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে এর দায়ও এই সন্ত্রাসীদের নিতে হবে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসির হোসেনসহ অন্যরা। তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, মিলন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Comments