এসেনসিয়াল ড্রাগসে বিগত সরকারের আমলে হরিলুট
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার এবং সেই সময়কালে নিয়োগ পাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এসেনসিয়াল ড্রাগ্স কোম্পানি লিমিটেডে লুটপাটসহ অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করে গিয়েছেন। তারা কোনো রকম এই প্রতিষ্ঠানের আয় এবং ব্যয়ের সঠিক হিসাব নিকাশ না করেই এবং নিয়মনীতির কোনো রকম তোয়াক্কা না করে তাদের সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে তারাও সেই নিয়্যতে এই পদে থাকার লোভে যাচ্ছেতাই করে গেছেন।
হাজার হাজার কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করা সহ দলীয় সরকার থেকে তাদের চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত মেয়াদে থেকে গিয়েছেন আর সেই নির্মম বাস্তবতার ভুক্তভোগী হচ্ছে বর্তমান সরকার এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এ. সামাদ মৃধা।
তিনি এই বিশেষ পরিস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে বর্তমান সরকারের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটির ভঙ্গুর অবস্থার উন্নতি সাধনের জন্যে রাজি হয়েছেন এবং চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সামাদ মৃধা যুক্ত হওয়ার পর থেকেই আবারও এই ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।
আনুমানিক অতিরিক্ত তিন থেকে চার হাজার লোকবল নিয়োগ দিয়ে গিয়েছে ঐ ফ্যাসিবাদী সরকার। যার ব্যয় বহন করার সক্ষমতা বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের নেই। গত পনেরো থেকে সতেরো বছর শুধু ভবন নির্মাণ এবং মেশিনারিজ ক্রয় বানিজ্য ছাড়া আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নতি করা হয়নি। যার কারনে অতিরিক্ত নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পাওয়া লোকবল বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে অতিরিক্ত লোকবলের বেতনাদীসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির জন্যে প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি আরো কিছুদিন চালিয়ে নেওয়া হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমান সরকার আসার পরেই উপদেষ্টা মন্ডলীর পরামর্শে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষনা দেওয়ার আগেই নিয়ম বহির্ভূত অতিরিক্ত নিয়োগ প্রাপ্তদের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য ঠিক রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এ. সামাদ মৃধা যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে অক্লান্ত পরিশ্রমের করে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপের কারনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছেন। যা ইতিমধ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
কিন্তু অসাধু লোকজন তার সকল চেষ্টাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া। গত ফ্যাসিষ্ট সরকারর দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার এবং শ্রমিকরা রাতারাতি দলিয় অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্যে সস্তা রাজনীতির খেলায় মেতেছে।
তারা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন এডিট করে সেগুলো হাইলাইট করে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। তারা যেই ইস্যু গুলো সামনে এনে বর্তমান ম্যানেজমেন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তা কোনোভাবেই সঠিক নয়। যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Comments