রামরঙ্গন কমলা চাষে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নীলফামারীর আদর্শ মানিক নার্সারী
রামরঙ্গন চায়না জাতের কমলা চাষে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নীলফামারীর আদর্শ মানিক নার্সারীর উদ্যোক্তা ও নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের কর্মরত আব্দুল মতিন। তিনি নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষে নিজ জেলা ও পাশ্ববর্তী জেলা গুলোতে সুনাম অর্জন করেছে।তার এই বাগান দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসছে।ফলন ভালো হওয়ায় এই জাতের কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ড.আতিক আহমেদ বলেন,এ অঞ্চলের মাটিতে এসিডের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশি জাতের ফল এ অঞ্চলে চাষাবাদ ফলপ্রসু।যেহেতু বাজারে এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলছে সেহেতু কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ও রামরঙ্গণসহ বিভিন্ন ফল চাষে উপযোগী।
ভারত ও চীনে ব্যাপকভাবে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ হয়। আমদানিকৃত রামরঙ্গন কমলা লেবুর চেয়ে এলাকায় উৎপাদিত ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু। সামান্য কিছু পরিচর্যা করলেই চাষে সাফল্য আসে। রামরঙ্গন কমলা চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম।
একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে এক মৌসুমে দেড় মন থেকে দুই মন রামরঙ্গন কমলা পাওয়া সম্ভব। রামরঙ্গন কমলা গাছ পাঁচ-ছয় ফুট লম্বা হয়। এটা কমলার একটি ভ্যারাইটি জাত। এই জাতের কমলা চাষে সুবিধা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ পরিপক্ব হওয়ার পরও এটা গাছ থেকে ঝরে পড়ে না। পরিপক্কের পরও অন্তত ফলটি এক মাস গাছে রাখা যায়।
এছাড়াও আব্দুল মতিন সদরের কচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ৫০ বিঘার উপর ৮০০ এর অধিক চারা নিয়ে তৈরি করেছে আদর্শ মানিক নার্সারী।সৃষ্টি হয়েছে প্রায় শত লোকের কর্মসংস্থান।শিক্ষিত বেকার ছাত্রদের কর্মসংস্থান সুযোগ হয়েছে এই আদর্শ মানিক নার্সারীতে।
অনলাইনে দেশের সকল জেলায় যত্নসহকারে পৌছে দিচ্ছে তাদের পছন্দের চারা।এ বিষয়ে আব্দুল মতিন জানান,নতুন উদ্যোগক্তাদের সার্বক্ষনিক সহায়তা দিয়ে থাকেন।এছাড়া তিনি বলেন,আগের তুলনায় চাহিদা বেশি হয়েছে।
Comments