ক্লাউডবার্স্টে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা

ক্লাউডবার্স্ট, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর। গত চার দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের তিনটি ভিন্ন স্থানে ক্লাউডবার্স্টে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২২ জন। এ অবস্থায় আজ সোমবার ওই অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল রোববার এ বন্ধ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক এক আদেশে বলেছেন, বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল সোমবার বন্ধ থাকবে। ১০টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আবহাওয়া দপ্তর জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, 'ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ক্লাউডবার্স্ট, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। সতর্কতা জারি করা জেলাগুলো হলো—জম্মু, রিয়াসি, উধমপুর, রাজৌরি, পুঞ্চ, সাম্বা, কাঠুয়া, ডোডা, কিশ্তওয়ার, রামবান এবং কাশ্মীরের কিছু অংশ।'
গত ১৪ আগস্ট কিশ্তওয়ারের গ্রাম চিসোটিতে ক্লাউডবার্স্টের ফলে আকস্মিক বন্যা হয়। এতে ৬১ জন মারা যান এবং ১১৬ জনেরও বেশি আহত হন। এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮১ জন তীর্থযাত্রী এবং একজন কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) কর্মী।
এরপর ১৭ আগস্ট কাঠুয়া জেলার দুটি পৃথক স্থানে ক্লাউডবার্স্টে এবং ভূমিধসে সাত জন মারা যান এবং পাঁচ জন আহত হন। রাতে ভারী বৃষ্টির মধ্যে রাজবাগ গ্রামের যোধ ঘাটি এবং জাংলোট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধারকার্যে সেনা ও জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরাও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে।
প্রবল বর্ষণে সড়ক-সেতু ও নদীর ধারে থাকা গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিশেষত কিশ্তওয়ার, রামবন, ডোডা, কাঠুয়া, রাজৌরি ও উদম্পুর জেলায় মানুষকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments