‘গাজার সব মানুষ না খেয়ে আছেন’

গাজা উপত্যকায় দুই মাস ধরে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এই সময়ে গাজায় খাদ্য থেকে শুরু করে একটি কণাও ঢুকতে দেয়নি দখলদাররা। এতে করে সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি এনজিও'স নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শায়া জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলাই শুধুমাত্র বিপর্যয় সৃষ্টি করছে না। তাদের অবরোধও বিপর্যয় তৈরি করছে।
তিনি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, "সত্যিকারের অবস্থা বোঝানোর ভাষা আমার কাছে নেই। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো গাজার সব মানুষ না খেয়ে আছেন। সীমান্ত বন্ধ করার দশম সপ্তাহ এটি। এ সময়ে কিছু প্রবেশ করেনি, কোনো সরবরাহ না। জাতিসংঘের সব সংস্থা, এনজিও, বেসরকারি খাত সবার সরবরাহ ফুরিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় সেখানে কোনো ওষুধ নেই। হাসপাতালের সব বিছানাগুলো আহত মানুষে পরিপূর্ণ।"
দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজায় আজ বুধবার (১৩ মে) ভোর থেকে ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে।
হামলার পাশাপাশি অবরোধ অব্যাহত রাখায় নিমিষে ক্ষুধার্থ ক্লান্ত এসব মানুষের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র আজকে ৮০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে বলেছে, "আজ ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় শহীদের সংখ্যা ৮০ জনে পৌঁছেছে। যারমধ্যে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের ৫৯ জন রয়েছেন।"
আলজাজিরার সাংবাদিক জেমস বেইস কাতারের রাজধানী দোহা থেকে জানিয়েছেন, হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সাংবাদিক বলেছেন, তিনি দোহায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা কেমন চলছে। জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ঠিক কতটা অগ্রগতি হয়েছে সেটি স্পষ্ট করেন তিনি।
Comments