সিলেট বোর্ড পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। এবছর এ বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, 'সিলেটে এই বছর মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্যের হার বেশি। গণিত ও ইংরেজিতে অনেক শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে না পারার জন্য সিলেটে পাসের হার কমে গেছে। দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের অনেক প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা, অমনযোগিতা, এবং শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবও খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।'
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবছর সিলেট বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২১৯জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন। এরমধ্যে ছেলে ২৮ হাজার ৬৮৪জন ও মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৭জন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪ জন। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়ে ১ হাজার ৮২৩ জন।
এবছর পাসের হারে ছেলে ও মেয়েদের পার্থক্য খুব নেই। ছেলেদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ-৫এও ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের তীব্র প্রতিযোগীতা হয়েছে। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়েদের সংখ্যা ১ হাজার ৮২৩ জন।
এবছর সিলেটের ৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। তবে শতভাগ ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেই। গত বছর শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩১টি।
সিলেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, 'সব দিক বিবেচনা করে সার্বিক ফলাফলে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। যে সকল বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভবিষ্যতে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'
Comments