১১৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে এলো বিমানের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট

নেপাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১৪ জন যাত্রী নিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত নেপাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরণের ফ্লাইট উঠা নামা বন্ধ রেখেছে। ফলে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রুটের বিমান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিমানের কাঠমান্ডুগামী একটি ফ্লাইট ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কাছাকাছি গিয়েও ফিরে এসেছে। অন্যদিকে বিমানের আরও একটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের ফেরার কথা ছিল। তারাও সেখানে আটকা পড়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর জানান, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিজি ৩৭১ ফ্লাইট নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যায়। কিন্তু বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় কাছাকাছি গিয়েও ১১৪ যাত্রী নিয়ে বিমানটিকে ফিরে আসতে হয়েছে। বর্তমানে কাঠমান্ডু থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফেরার ফ্লাইটটি ছিল বিমানের। বাফুফে জানিয়েছে, জামাল ভূঁইয়াদের দলটি আজ বেলা ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৩৭২ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তারা হোটেলেই আটকে আছেন।
জাতীয় দলের আমের খান বলেন, 'কাঠমান্ডুর অবস্থা খারাপ। আমরা হোটেলেই আছি। ফেরার ব্যাপারে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।' ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় উভয় যাত্রীদের বিমানের ব্যবস্থায় হোটেলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাজধানীর কোটেশ্বর এলাকার কাছে ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর সতর্কবার্তা জারি করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক হংস রাজ পান্ডে বলেন, 'বিমানবন্দর বন্ধ হয়নি, আমরা এটিকে বন্ধও করব না।' তবে সব ধরনের সতর্কবার্তা মেনে কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। এরপর থেকে রাজধানী কাঠমান্ডু ও বড় শহরগুলোতে কারফিউ জারি রয়েছে, যা ফ্লাইট চলাচলেও প্রভাব ফেলেছে।
Comments