আইপিএলের শিরোপা উদযাপনে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আইপিএল শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টুর্নামেন্ট শুরুর ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছে বিরাট কোহলির দল। মঙ্গলবার (৩ জুন) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে তারা ৬ রানে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে। চতুর্থবারের চেষ্টায় শিরোপা জিতে উচ্ছ্বসিত বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা।
বুধবার (৪ জুন) বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আয়োজিত দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে হাজার হাজার দর্শক। যত সময় গড়ায় তত ভিড় বাড়তে থাকে। যাতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু ও ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি'কে কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ভিড়কে 'অনিয়ন্ত্রণহীন' বলে জানান, 'অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি," মি. শিবকুমার বলেন। "আমরা ৫,০০০ এরও বেশি কর্মীর ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি তরুণ প্রাণবন্ত জনতা, আমরা তাদের উপর লাঠি ব্যবহার করতে পারি না।'
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরেও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। স্টেডিয়ামের কাছের কিছু বেঙ্গালুরু মেট্রো স্টেশনের দৃশ্যেও দেখা গেছে যে ট্রেন থেকে নেমে সিঁড়ি বেয়ে আসা বিশাল জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান অনেকে। কাছের বাউরিং হাসপাতালে, আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলি আসতে থাকে, তাদের নামিয়ে দেয় এবং আবার স্টেডিয়ামে ফিরে যায়।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে পুলিশ জানিয়েছে যে, মঙ্গলবার রাত থেকে তারা উদযাপনকারী জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সারা রাত ধরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বিকালে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ট্রফি নিয়ে উল্লাসের কথা কোহলিদের। তবে আহমেদাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুর চার্ডার্ড বিমান নামার আগে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। তার অনেক আগে থেকেই চিন্নাস্বামীর বাইরে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শক। সকলে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। যারা পাস পান তারাই ভিতরে ঢোকেন। তখনও বাইরে হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে চিন্নাস্বামীর বাইরে যখন এই যখন এই ঘটনা ঘটছে তখন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারেরা বিধান সৌধে। কোহলিদের প্রত্যেকের গায়ে লাল টি-শার্ট। তাতে লেখা 'চ্যাম্পিয়ন্স।' সেখানে কোহলি-সহ প্রত্যেককে সম্মান জানান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। পরানো হয় পাগড়ি ও মালাও। যদিও বৃষ্টি নামায় সেই অনুষ্ঠান তাড়াতাড়ি শেষ করতে হয়। বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যান কোহলিরা। বাইরে বিশৃঙ্খলার পরেও স্টেডিয়ামের ভিতরে অনুষ্ঠান চলতে থাকে।
Comments