গলা কেটে রিকশাচালককে খুনের পর রিকশা ছিনতাই

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা এলাকায় তক্ষক ব্যবসার দ্বন্দ্ব থেকে রিকশাচালককে হত্যার তিন মাস পর ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টানা তিন দিনের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের মোবাইল ও ছিনতাইকৃত ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারিও।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, নিহত রিকশাচালক মো. বেলাল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নিখোঁজ হন। পরদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভূজপুর থানার নিউ দাঁতমারা চা বাগানের ভেতর থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে জানা যায়, রিকশাচালক বেলালকে হত্যা করে তার রিকশা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান তৌহিদুল ইসলাম ওরফে বানিয়া (২৪)। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ২২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল তালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভূজপুর থানা পুলিশ।
পরদিন তৌহিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে নিহত বেলালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ফেনী সদর থানার মহিপাল এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত রিকশার ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তৌহিদ পুলিশকে জানায়, বেলাল তক্ষক কেনার আগ্রহ দেখালে সে তাকে একটি প্রতারক দলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে বেলাল প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তৌহিদকে মারধর করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যার দিন অর্থাৎ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তৌহিদ বেলালকে চোলাই মদ খাইয়ে নিউ দাঁতমারা চা বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এরপর রিকশাটির রঙ পরিবর্তন করে ফেনীতে নিয়ে গিয়ে এর ব্যাটারি খুলে এক দোকানে বিক্রি করে এবং রিকশাটি ফেলে রেখে নারায়ণগঞ্জে পালিয়ে যায়।
ভূজপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
Comments