ঝালকাঠিতে বাবুই পাখি হত্যা: দুই মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ঝালকাঠির সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় মোবারক ফকির নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের অভিযোগে ফৌজদারি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত মোবারক ফকিরকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
ওইদিন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। এতে বাবুই পাখির বহু বাসা ভেঙে পড়ে, ডিম ও ছানাগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের এই ঘটনায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় ফৌজদারি আইনের ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। পাশাপাশি বন বিভাগের পক্ষ থেকে 'বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২'-এর আওতায় 'পিওআর নং ০১/ঝাল/২০২৪-২৫' নম্বরে আরেকটি মামলা করা হয়।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, 'ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। মোবারক ফকিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে পূর্ব গুয়াটন এলাকায় বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। গাছটি কাটেন মিজানুর রহমান, তার সহযোগী ছিলেন ফারুক হোসেন। গাছটি কাটার সময় অনেকগুলো বাবুই পাখির বাসা মাটিতে পড়ে গেলে ডিম ও ছানাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
Comments