আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ২টায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
জেলা ন্যাশনাল ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (এনডিএ) আয়োজনে অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ল কার্যালয়। প্রমাণ স্পষ্ট, প্রতিরোধ বিনিয়োগ করুন, মাদকাসক্তি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের দুষ্টচক্র ভেঙ্গে ফেলুন এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদকবিরোধী সামাজিক সচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষার্থীদের এ ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আহ্বান জানান। শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকালে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা কালেক্টর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে র্যালি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, পরিদর্শক আবদুর রহিম, উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিনসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীকে যদি শিক্ষক নিজ সন্তান মনে করেন। উদ্যোগ নেন সংশোধনের। তবেই তিনি যথার্থ শিক্ষক। একইভাবে অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকায় মাদক প্রতিরোধ সম্ভব হয়ে উঠবে। কারন, পারিবারিক এবং একাডেমিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মুরুব্বিদের অভিযোগ রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের বিরুদ্ধে। তারা বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করে না। গুরুজনদের মান্য করেন না। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। অনেক ক্ষেত্রে আক্রমন করে থাকেন। কথাটি মোটেও মিথ্যা নয়। আমরা প্রায় দেখতে পাচ্ছি, সমাজে এমনটি ঘটছে। এরজন্য সন্তান বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বোধটুকু তৈরি করতে হবে। যিনি আমাকে আদর করেন, স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। তিনি আমাকে শাসনও করতে পারবেন। এই কাঠামো তৈরি করতে হবে আমাদের। এরজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভুমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মায়েই প্রত্যাশা, নিজ সন্তান যেন ভালো থাকে।
আরও বলেন, মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার কাজ করছে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জেলা প্রশাসনও প্রায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে জড়িতদের। মাদক প্রতিরোধে নূন্যতম আপোষ করা হয়না। আগামীর সমাজ ও দেশ নেতৃত্ব দিবে যুব-তরুণরা। তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ। এখন ওই যুব-তরুণরা যদি মাদকাসক্ত হয়। তারমানে জাতি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। এই ক্ষতি কোনভাবে পুরন করা সম্ভব হবে না। এজন্য মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে, তারণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
Comments