বরিশালে কিশোর গ্যাং “কেচি” বাহিনীর হামলায় চার এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত

বরিশালে কিশোর গ্যাং "কাচি (কেচি)" বাহিনীর হামলায় চার এসএসসি পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দু'জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মকরম প্রতাব এলাকায় ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- খন্দকার মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র আবির খন্দকার (১৭), তোফাজ্জল হোসেন এর পুত্র ছাবিত খন্দকার (১৭), রাজা মিয়ার পুত্র ইমাম হোসেন (১৭) এবং বুলবুল হাওলাদারের পুত্র মো. আলিফ (১৭)। আহতরা সবাই বুখাইনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আহতরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিন বন্ধু মকরম প্রতাব বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে থানার চারঘাটা নামক স্থানে খলিল মোল্লার পুত্র কিশোর গ্যাং "কাচি" বাহিনীর প্রধান শফিক (১৭) তাদের চোখে টর্চলাইট মারে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় শফিক ও তার সহযোগী মোকসেদুল হাওলাদারসহ কয়েকজন মিলে আবির এবং তার বন্ধুদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় তাদের সাথে থাকা "কাচি" দিয়ে চার বন্ধুকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় গুরুতর আহত দু'জনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটরানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহতের স্বজনরা। তাছাড়া লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শফিকের নেতৃত্বে চরমোনাইর মকরম প্রতাব এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সব সময় অস্ত্র হিসেবে "কাচি (কেচি) নিয়ে ঘোরে। এ কারণে স্থানীয়ভাবে তারা "কেচি" বাহিনী হিসেবে পরিচিত।
আগেও কেচি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন অনেকে। তাই বেপরোয়া এই কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম টেনে দেয়ার দাবি স্থানীয়দের। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিক বা তার সহযোগীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments