যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি র্যাবের হাতে গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঘটনার পর ১১ বছর পলাতক ছিলেন মুক্তার। গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে সে। আব্দুল মান্নান সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে ঢাকা পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার মুক্তার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।
র্যাব ও মামলা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার ৪ দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশীট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয় বিচারক। তবে রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। গ্রেপ্তার মুক্তার ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, শাহ জালাল ও ইয়াসিন আরাফাত রাফি। এরমধ্যে গত ২৫ এপ্রিল পলাতক শাহজালালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মুক্তারকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ২ এর সহযোগীতায় পল্লবী থানাধীন সেকশন ১২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments