কোহলিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সমর্থকরা

বেঙ্গালুরুর চিন্বাসামী স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। ইতোমধ্যে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। নৈতিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে চাকরি ছেড়েছে কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এবং কোষাধ্যক্ষ। এবার একই ইস্যুতে বিরাট কোহলির গ্রেফতার চাইছেন সমর্থকদের একাংশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কোহলিকে গ্রেফতারের জন্য জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছে একদল সমর্থক। তাদের দাবি, সমর্থকদের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেও কোনোপ্রকার সহানুভূতি দেখাননি কোহলি। যারা মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন, তারা বেশিরভাগই কোহলির সমর্থক। কিন্তু তাদের মৃত্যুর খবর শুনেও কোহলি কেন কোনো প্রতিক্রিয়া জানালেন না, এ কারণে সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আইপিএলের ট্রফি জিতে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পরিবারের কাছে গিয়েছেন কোহলি। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই কোহলির এই প্রস্থানও মেনে নিতে পারছেন না অনেক সমর্থক। অনেকে তো এই ঘটনার জন্য কোহলিকে দায়ীই মনে করছেন। আর তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ট্রেন্ডিং বিষয়ের একটি হয়ে উঠেছে কোহলিকে গ্রেফতারের দাবি।
তবে দুর্ঘটনার জন্য যে কোনোভাবেই দায়ী নন কোহলি, সেটা একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, কর্ণাটক পুলিশ নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা না দেয়ার পরেও বিজয় প্যারেড করেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে সেটা ছিল পুলিশের সঙ্গে বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের গাফিলতি। এই ঘটনার জন্য কোহলিকে কোনোভাবেই দায়ী করা সম্ভব নয়।
১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে এবারের আইপিএলে শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির দলের প্রথম শিরোপা জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে গত ৪ জুন ট্রফি প্যারেড করে বেঙ্গালুরু। তবে সেই প্যারেডেই ঘটে বড়সড় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
কোহলিদের ট্রফি প্যারেড চিন্বাসামী স্টেডিয়ামের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর তাড়াহুড়ো করে ঢুকতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ জন। এছাড়া অন্তত ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনজুড়েই বইছে শোকের হাওয়া। আর সেটিরই বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
Comments