সাবিনা-সানজিদাদের ছাড়াই জর্ডানের পথে বাংলাদেশ

আগামী মাসে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে মিয়ানমারে যাবে বাংলাদেশ। এই সফরের আগে চলতি মাসের শেষে জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সেই সফরের দলে জায়গা দলে জায়গা হয়নি সাফজয়ী পাঁচ ফুটবলার- সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী ও সানজিদা আক্তারের৷
রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঘোষিত ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছেন কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ৯ ফুটবলার। তারা হলেন- রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মোসাম্মত সাগরিকা।
গত ৩০ জানুয়ারি বাফুফে ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সাবিনার নেতৃত্বে ১৮ জন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই সময় ফুটবলাররা জানান, কোচকে দায়িত্বে বহাল রাখা হলে তারা খেলবেন না। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালকেও চিঠি দিয়েছিলেন তারা।
সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের স্কোয়াডে থাকা ১১ জনকে এই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের দলে রেখেছেন কোচ। এ ছাড়াও আসন্ন এই সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন তিনজন। গোলরক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের সঙ্গে আছেন মিডফিল্ডার শান্তি মার্ডি ও ফরোয়ার্ড উমেলা মারমা।
আগামী ৩১ মে স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। অন্য ম্যাচটি ৩ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগামীকাল সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় জর্ডানের বিমান ধরবেন তারা। এই টুর্নামেন্ট শেষেই মিয়ানমারে যাবে বাংলাদেশ। আগামী ২৩ জুন শুরু হবে এশিয়ান কাপ। আর শেষ হবে ৫ জুলাই। 'সি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার, তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইন।
২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল
গোলরক্ষক : রুপনা চাকমা, মেঘলা রানী, ফেরদৌসী আক্তার
ডিফেন্ডার : শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আফঈদা খন্দকার, জয়নব বিবি
মিডফিল্ডার : মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, কোহাতি কিসকু, হালিমা আক্তার, শান্তি মার্ডি
ফরোয়ার্ড : ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, মোসাম্মত সাগরিকা, শাহেদা আক্তার, সুরভী আকন্দ, মোসাম্মত সুলতানা, নবীরণ খাতুন ও উমেলা মারমা।
Comments