ধর্মেন্দ্রর কোটি টাকার সম্পত্তি কাদের দান করে গেছেন?
মৃত্যুর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল ধর্মেন্দ্রর বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি। খামারবাড়ি, জমি–বাড়ি, রিসোর্ট, রেস্তরা মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি রুপি। তাইতো অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন —এই বিশাল সম্পত্তি ভাগ হবে কীভাবে? ছয় সন্তান আর দুই স্ত্রী—কে কতটা পাবেন?
এর মাঝেই দানা বাঁধে আরেক গুজব—ধর্মেন্দ্র কি মৃত্যুর আগেই সম্পত্তির বড় অংশ দান করে দিয়েছেন? তবে কি সানি–ববি–অজেতা–বিজয়েতা–ঈশা–অহনার ভাগে আসবে না বাবার সম্পদ?
ভারতীয় গণমাধ্যম মিড ডে জানাচ্ছে, খবরটি পুরোপুরি সত্য নয়। বরং ধর্মেন্দ্র তাঁর মূল সম্পত্তি থেকে সন্তানদের বঞ্চিত করেননি। তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত তিনি জীবিত থাকতেই নিয়ে ফেলেছিলেন—নিজের পৈতৃক জমি লিখে দিয়েছেন কাকার নাতিপুতিদের নামে। কারণ, তিনি চাননি তার গ্রামের কেউ অর্থকষ্টে পড়ুক। ভিটেমাটির প্রতি তাঁর এই টান বহুদিনের।
জীবনের সেই সময়টায় যখন ধর্মেন্দ্র ছিলেন খ্যাতির তুঙ্গে। একের পর এক ছবি, বাড়তে থাকা উপার্জন, ব্যস্ত শুটিং সূচি—সব মিলিয়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার নাসরালিতে থাকা তার পূর্বপুরুষের জমি দেখভালের সুযোগ ছিল না। তখনই সিদ্ধান্ত নেন—এই জমি গ্রামের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেবেন, যাতে তারা এটিকে সামলে রাখতে পারেন।
আজ সেই জমির আনুমানিক মূল্য কম করে পাঁচ কোটি রুপি। এখনও সযত্নে দেখাশোনা করছেন গ্রামের মানুষ।
ধর্মেন্দ্রর ভাগ্নে বুটা সিংহ জানিয়েছেন, জমি নিয়ে কোনো ধরনের বিবাদ শুরু হওয়ার আগেই মামা সব বুঝে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন। গ্রামের প্রতি তাঁর টান ছিল গভীর। শুটিংয়ের ব্যস্ততা সত্ত্বেও যখনই নাসরালিতে ফিরতেন, জন্মভিটের মাটি কপালে ছুঁয়ে প্রণাম করতেন। তাই হয়তো আজও গ্রামের মানুষ ভুলতে পারে না—সুপারস্টার হওয়ার পরও ধর্মেন্দ্র কখনও ভুলে যাননি নিজের শেকড়ে ফেরা সেই পথ, সেই ভিটেমাটির প্রতি তাঁর অসীম ভালোবাসা।
Comments