বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করেছেন, এই অভিযোগ ওঠার পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
পাঁচ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা ডেভি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ছিলেন। বিবিসির সাবেক একজন পরামর্শক এই অভিযোগ তোলার পর দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্য যেভাবে সম্পাদনা করা হয়, সে জন্য বিবিসি ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার মধ্যে রোববার (৯ নভেম্বর) তারা পদত্যাগ করলেন।
সোমবার দ্য টেলিগ্রাফ একটি ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ বিবিসি মেমোর বিস্তারিত প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়েছে যে প্যানোরামা কর্মসূচিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের দুটি অংশ একসঙ্গে সম্পাদনা করে এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল, যাতে মনে হয় তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গাকে সরাসরি উসকে দিয়েছেন।
টিম ডেভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।
এদিকে বিবিসিকে শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। রোববার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বিবিসিকে বামপন্থি প্রপাগান্ডা মেশিন বলে সম্বোধন করেছেন। তার অভিযোগ, ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃতভাবে প্রচার করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ব্রিটিশ এই সম্প্রচার মাধ্যম।
২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল হামলার দিন ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে বিবিসির তৈরি একটি প্রতিবেদনে সম্পাদনা-কারসাজির অভিযোগ উঠে। ভিডিওটিতে ট্রাম্পকে সমর্থকদের উদ্দেশে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু দ্য টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, ট্রাম্পের দুটি বক্তব্যের মধ্যে ৫৪ মিনিট ব্যবধান থাকলেও ভিডিওতে তা একত্র করে দেখানো হয়।
বিবিসির দুই শীর্ষ কর্তার পদত্যাগের পরেও সংবাদমাধ্যমটিকে একহাত নিয়েছেন ক্যারোলিন লেভিট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে টিম ডেভির পদত্যাগের খবরের পাশে 'ট্রাম্প গোজ টু ওয়ার উইথ 'ফেক নিউজ' বিবিসি শিরোনামে টেলিগ্রাফের প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট তুলে দিয়েছেন তিনি।
Comments