ইরাকে সামরিক উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের, জানালো পেন্টাগন

ইরাকে সামরিক উপস্থিতি ধীরে ধীরে সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। তারা জানিয়েছে, ইরাক থেকে বেশিরভাগ সেনা সরিয়ে সিরিয়ায় নেওয়া হবে দাইশ যোদ্ধাদের অবশিষ্ট অংশকে মোকাবিলা করার জন্য।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে পেন্টাগন এ কথা জানিয়েছে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্রক্রিয়ায় বাগদাদ তার নিজের দেশের অভ্যন্তরে দায়েশের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা পরিচালনা করবে। পরিকল্পনার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার জোটের মিত্ররা সিরিয়ায় দায়েশের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে মনোনিবেশ করবে এবং বেশিরভাগ মার্কিন কর্মীদের ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা আরও জানান, ইরাক ও সিরিয়া থেকে দায়েশ নির্মূল করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে একটি জোট গঠিত হয়। জোটে ২০২৫ সালের শুরুতে ইরাকে আমেরিকার প্রায় ২ হাজার ৫০০ সৈন্য ছিল। এছাড়া প্রতিবেশী সিরিয়ায় ছিল ৯০০ জনেরও বেশি সৈন্য। স্থানান্তর সম্পন্ন হলে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর মোট সংখ্যা ২ হাজারেরও কম হবে এবং তাদের বেশিরভাগই ইরবিলে থাকবে। চূড়ান্ত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
আর বাগদাদে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট মার্কিন সেনারা দায়েশ-বিরোধী লড়াই নয়, বরং স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করবে।
একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, 'ইরাকি ভূখণ্ড থেকে দায়েশ আর ইরাক সরকার বা মার্কিন মাতৃভূমির জন্য স্থায়ী হুমকি তৈরি করছে না।'
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সঙ্গে পশ্চিম আনবার প্রদেশের আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি ছেড়ে এটি ইরাকের কাছে হস্তান্তরের জন্য সম্মত হয়। সিরিয়ায় দায়েশ যোদ্ধাদের ক্রমাগত উপস্থিতি এবং কারাগারে বন্দী হাজার হাজার লোককে মুক্তি দেওয়ার ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
আল-কায়েদার প্রাক্তন নেতা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা গত বছর বাশার আল আসাদের সরকারকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মে মাসে রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সঙ্গে দেখা করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বলে আসছেন, দায়েশ সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সেখানে পুনরায় শক্তিশালী হতে পারে।
Comments