মেহজাবীনের চৌধুরী অভিনীত ‘সাবা’ বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ নির্মাতা রাজীব

প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত সিনেমা 'সাবা'। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত এই সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হলেও এবার অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়নি। এর বদলে অস্কার বাংলাদেশ কমিটি লিসা গাজী পরিচালিত 'বাড়ির নাম শাহানা' সিনেমাকে মনোনীত করেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন 'সাবা' অভিনেত্রী মেহজাবীনের স্বামী, নির্মাতা আদনান আল রাজীব।
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৮তম আসর। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে একটি সিনেমা এই প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হয়। এ বছর এই সুযোগ পেয়েছে 'বাড়ির নাম শাহানা', যা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয় অস্কার বাংলাদেশ কমিটি। এই ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন আদনান আল রাজীব।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, 'একটি চলচ্চিত্র যখন টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আসরে স্বীকৃতি পায়, আর বাংলাদেশের অস্কার কমিটি তাকে গুরুত্ব দেয় না, তখন তা হতাশাজনক। 'বাড়ির নাম শাহানা' সুন্দর চলচ্চিত্র হতে পারে, কিন্তু যদি লক্ষ্য হয় অস্কারে দেশের প্রতিনিধিত্বকে শক্তিশালী করা, তবে 'সাবা' নিঃসন্দেহে আরও শক্তিশালী নাম।'
অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সমালোচনা করে রাজীব আরও বলেন, 'তাদের কাজকর্ম দেখে মনে হয়, আমাদের কমিটিগুলো প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে না। যে দেশ তার শিল্প-সংস্কৃতিকে কীভাবে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করতে হয়, সেই কৌশলই বোঝে না, সে দেশ কখনও এগোতে পারবে না। আমরা এখনো তৃতীয় বিশ্বের দেশ, কারণ আমরা ব্যক্তিগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিই।'
আদনান আল রাজীবের সমালোচনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন আরেক স্বনামধন্য নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। রাজীবের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে নুহাশ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
নুহাশ হুমায়ূন লেখেন, 'আমি তোমার সঙ্গে একমত... ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে 'সাবা' ছবিটিই ভালো লেগেছে। এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত, কারণ আমি ছবিটি বেশি পছন্দ করেছি।'
এদিকে, সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত 'বাড়ির নাম শাহানা' সিনেমাটি একজন তালাকপ্রাপ্ত নারীর জীবন-সংগ্রামের গল্প নিয়ে তৈরি। এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দীকা। 'সাবা'র মতো এই চলচ্চিত্রটিও লন্ডন, শিকাগো, মেলবোর্ন ও মুম্বাইয়ের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল।
Comments