সাইপ্রাসে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বেনাপোলের পুটখালী গ্রামে হাফিজুরের মৃত্যু

ইউরোপের সাইপ্রাসে নির্মানাধীন ভবনে কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সে বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ০৯ সেপ্টেম্বর ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সংসার,পরিজন ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে। সেখানে তিনি একটি বহুতল ভবনে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে ভবন থেকে তিনি নিচে পড়ে যান। এরপর ৬ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গতকাল রাতে তিনি মারা গেছেন। এদিকে তার অকাল মৃত্যুতে একদিকে স্বজন হারানো বেদনা অন্যদিকে রেখে যাওয়া দেনা পরিশোধের চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার।
প্রতিবেশিরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে ভারত সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রাম। এক সময় ভারতীয় গরু পারাপার ছিল পুট খালি গ্রামে এখানকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস। ছিলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সীমান্তে কড়াকড়ির কারনে প্রায় ৬ বছর ধরে বন্ধ গরু আসা। সংসার চালাতে তাই এখানকার অনেক পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। কেউ বা আবার অন্য বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে কাজের সন্ধানে
মৃতের স্বজনেরা জানান, হাফিজুর তার এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে গত ০৯ সেপ্টেম্বর সাইপ্রাসে চলে যায়। প্রবাসে যেতে তার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭ লাখ তিনি মানুষের কাছ থেকে ঋন নিয়েছিলেন। বিদেশে পৌছে ১৭ সেপ্টেম্বর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রথম দিনেই তিনি কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত ৭ তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
ইউপি সদস্য তানজিলা খাতুন জানান, সংসারের অভাব কাটাতে বিদেশ পাড়িদেন হাফিজুর। তাকে হারিয়ে নিস্ব এই পরিবার।মরদেহ যাতে দ্রুত ফেরত আসে সরকার প্রধানের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, নিহতের পরিবার সরকারী আর্থিক সহয়তা করা হবে। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত ভাবে আবেদন করতে হবে। দ্রুত যাতে তার মরদেহ দেশে ফেরত আনতে সকল সহযোগীতা করবে উপজেলা প্রশাসন।
Comments