মাদারগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের গেইটপাড় এলাকায় হোটেল রাসেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী আবু বক্কর।
ভুক্তভোগী আবু বক্কর অভিযোগ করে বলেন, আমি মাদারগঞ্জে বালিজুড়ি বাজারে হোটেল সজিবের স্বত্বাধিকারী ও উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। উপজেলা যুব দলের যুগ্ম-আহবায়ক মুখলেছুর রহমান এর সহোদর ভাই মোস্তাক আহমেদ আমার কাছে দীর্ঘদিন যাবত মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করে আসছেন। মোস্তাক আহমেদ একজন মাদকসেবি। মোস্তাক আহমেদ তার ভাই যুবদল নেতা মুখলেছুর রহমান এর প্রভাবে উপজেলায় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তাক এর একজন সহযোগী রনি আমাকে ফোন দিয়ে মোস্তাক আহমেদকে চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। আমি বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবগত করি। শুক্রবার রাতে মাদকসেবী মোস্তাক এর নেতৃত্বে একদল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমার হোটেল সজিব এ আক্রমণ চালায়। পরে আমার বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজ শুরু করেন। আমার বাড়ি থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার সহ ইন্টারনেট ব্যবসার মালামাল নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের পর আমার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সজীবকে মোস্তাক আহমেদ ও সন্ত্রাসীরা প্রাণ নাশের হুমকী দেয় । যে কোন সময় আমি ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এর আগেও সে চাঁদা দাবী করেছিলো। তখন থানায় মামলা দিতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই চিহ্নিত চাঁদাবাজ মোস্তাক আহমেদ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমার বিষয়ে যা বলছে সব মিথ্যা। আমি কোন চাঁদা দাবী করিনি। আমার ভাইয়ের প্রভাবে কোন প্রভাব বিস্তারও করিনি। আপনারা খোজ নিতে পারেন। আবু বক্কর আগে আওয়ামী লীগের লোক ছিলো, ৫ আগষ্টের পর টাকা দিয়ে এখন বিএনপির নেতা হইছে। তার নামেই নাশকতা মামলা আছে।
Comments