এক দশক পেরিয়ে 'নিরাময়'-এর অনন্য যাত্রা

এক দশক পেরিয়ে এসেছে নিরাময়ের এক অনন্য যাত্রা, যা কেবল চিকিৎসার ইতিহাস নয় মানবিকতা ও আস্থার প্রতিচ্ছবি বটে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার বন্ধনকে নতুন উচ্চতায় উন্মোচন করলো নিরাময়ের দশক মালয়েশিয়া বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও সুস্থতা মেলা ২০২৫।
এ আয়োজন ছিল এক অনন্য মিলনমেলা, যেখানে আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে মানবিকতার। ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ২০২৫ এখানে একত্রিত হয়েছে রোগীর আস্থা, সেবার মহিমা, আরোগ্যের অঙ্গীকার এবং দুই দেশের দশ বছরের আন্তরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা।
অতিথিদের কণ্ঠে ভেসে এসেছে একটি স্পষ্ট বার্তা চিকিৎসা শুধুমাত্র মেডিক্যাল প্রক্রিয়া নয়, এটি যত্ন, সহানুভূতি এবং মানবিকতার এক অবিচ্ছিন্ন যাত্রাপথ।

প্রতিবছর মালয়েশিয়া কয়েক লক্ষাধিক মেডিকেল ট্যুরিস্ট আকর্ষণ করছে শুধু প্রতিবেশী আসিয়ান দেশ থেকেই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও বিশ্বের মেডিকেল ট্যুরিস্টরা মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন বলে জানান।

অনুষ্ঠানে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স উপদেষ্টা নাসির উদ্দীন চৌধুরী জানান, হাজারো জীবনের পাশে থেকে সীমান্তের বাইরে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়ে আমরা এনেছি আশা ও আরোগ্য ও সফলতা।
গত এক দশকে অসংখ্য রোগী মালয়েশিয়ার আধুনিক হাসপাতালগুলোতে খুঁজে পেয়েছেন উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি মানবিক স্পর্শ। সাশ্রয়ী ব্যয়,অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তরিক সেবাশ্রুতির কারণে দেশটি আজ এশিয়ার মেডিকেল ট্যুরিজমের অন্যতম শীর্ষকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এ অনুষ্ঠান কেবল অতীতের সাফল্যের প্রতিফলন নয়; এটি উন্মোচন করলো ভবিষ্যতের নতুন স্বপ্নও। বাংলাদেশের রোগীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা আরও সহজলভ্য করা, আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও ঘনিষ্ঠ করা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোচ্ছে দুই দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত।
নিরাময়ের দশক মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও সুস্থতা মেলা ২০২৫ শেষ হলো নতুন প্রত্যয়ের অঙ্গীকারের সাথে। এটি কেবল একটি স্মারক মেলা নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে নিরাময়ের যাত্রাপথের উজ্জ্বল মাইলফলক যা আগামী দিনের সুস্থতাকে করবে আরও আলোকোজ্জ্বল।
Comments