প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন আনচেলত্তি

লন্ডন রিয়াল মাদ্রিদকে উপহার দিয়েছে দুঃস্বপ্ন। ডেকলান রাইসের অবিশ্বাস্য দুই ফ্রি-কিক গোলে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে গানাররা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন নিয়ে এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়া কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য এই হার স্বপ্নের স্বর্গ থেকে বাস্তবতার কঠিন মাটিতে পতনের। তবে এখনোই আশা ছাড়তে রাজি নন ফরাসি সুপারস্টার।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে যা হয়েছে তা লস ব্লাঙ্কোদের হজম করতে সময় লাগবে। থিবো কোর্তয়া একের পর এক দুর্দান্ত সেভ করে রিয়ালকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছেন তখন পর্যন্ত। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকে ডেকলান রাইস যে জাদু দেখিয়েছেন, তা ফেরানোর সাধ্য অন্তত পৃথিবীর কারো নেই। বল বাতাসে বাক খেয়ে রংধনুর মতো বেঁকে জালে জড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্যে রাইস মনে করিয়ে দিয়েছেন ডেভিড বেকহ্যামকে। এরপর মিকেল মোরেনোর আরেকটি গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম দলটিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মিকেল আর্তেতার দল।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের আগেই রিয়ালের বিদায় মোটামুটি নিশ্চিত। ৩ গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে মিরাকলের দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া ভিন্ন উপায় নেই। অবশ্য মিরাকল জন্ম দেয়া রিয়ালের নিত্যদিনের অভ্যাস।
রিয়ালের ফরাসি সুপারস্টার এমবাপ্পে সমর্থকদের এখনও বিশ্বাস রাখতে বলেছেন মিরাকলের আশাতেই। এখনও সেমিফাইনালে খেলার আশা ছাড়েননি এই মৌসুমে পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেয়া এমবাপ্পে।
ম্যাচের পর এমবাপ্পে ইনস্টাগ্রামে ছোট্ট এক বার্তায় শেষ দেখে ছাড়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমাদের শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রাখতে হবে।'
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন ছাড়ছেন না রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই ইতালিয়ান বলেন, 'আজ রাতের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বলতে হয়, এখান থেকে প্রত্যাবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। আমাদের আশাবাদী হতে হবে। কারণ আমরা পূর্বেও দেখেছি–বার্নাব্যুতে একাধিকবার প্রত্যাবর্তনের ঘটনা দেখা গেছে।'
তবে তার দল এদিন যেভাবে খেলেছে তাতে হতাশা লুকাতে পারেননি তিনি, 'গোল হজমের পর আমাদের প্রতিক্রিয়া দুর্বল ছিল। এটা এমন যা আমরা মৌসুমজুড়েই দেখতে পারছি। আমরা জমাট থাকতে চেয়েছি, যা আমাদের এই ম্যাচেও ভালো কিছু মুহূর্ত দিয়েছে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। কিন্তু এরপর এমন মুহূর্ত এলো, যখন আমরা ধসে পড়লাম।'
আমাদের সামনে সুযোগ ছিল বিরতির পর খেলার গতি বাড়ানোর, কিন্তু উল্টো কমে গেল। আমরা দলবদ্ধ হয়ে খেলতে পারিনি। যখন আপনি সংঘবদ্ধ না হয়ে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবেন, আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাবেন এবং এটাই হয়েছে। প্রতিপক্ষ বল পায়ে আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। এটা হতাশাজনক ফল।'–আনচেলত্তি যোগ করেন।
Comments