১৩তম ফটোফি বর্ষসেরা আলোকচিত্রী সৈয়দ অন্তু
'ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফি'বাংলাদেশের প্রথম ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফিবিষয়ক সংগঠন। অলাভজনক এই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর দেশের একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আলোকচিত্রীকে 'ফটোফি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার' (বর্ষসেরা আলোকচিত্রী) পুরস্কার প্রদান করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর (২০২৪), সোমবার ১৩তম 'ফটোফি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার' পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আলোকচিত্রী সৈয়দ অন্তু ২০২৩ সনের 'অগভীর শূন্যে' শিরোনামের কাজের জন্য এবছর এই পুরস্কার অর্জন করেছেন।
রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিথি ছিলেন বরেণ্য আলোকচিত্রী শফিকুল আলম কিরণ, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইফুল হক অমি, ডকুমেন্টারি আলোকচিত্রী মোহাম্মদ রকিবুল হাসান, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটে ফটোগ্রাফি বিভাগ-প্রধান খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া, ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফির প্রতিষ্ঠাতা সুদীপ্ত সালাম প্রমুখ।
জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল গণমাধ্যম 'ঢাকা অপেরা' নিবেদিত এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'এজেন্সি পার্সপেক্টিভ'। পুরস্কার হিসেবে সৈয়দ অন্তু পেয়েছেন নগদ ২০ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট।
আলোকচিত্রী সৈয়দ অন্তুর জন্ম ১৯৮৯ সনে, ঢাকায়। ২০১৬ সনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া, কমিউনিকেশন, ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাট শেষ করেছেন। ক্যামেরার সঙ্গে তার বোঝাপড়ার শুরু ২০১২ সন থেকে। ২০১৯ সনে 'ওপেন স্কুল অব ফটোগ্রাফি' থেকে ছয় মাসের ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফি কোর্স করেন। বর্তমানে 'কাউন্টার ফটো'তে ফটোগ্রাফিতে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা করছেন। নানা সামাজিক বিষয় তার ফটোগ্রাফির উপজীব্য। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের ওপর দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ সনে 'ওয়ার্ক্যাবিলিটি এশিয়া' আয়োজিত আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রযৌক্তিক যুগে মানুষ থেকে মানুষের বিচ্ছিন্নতা এবং ব্যক্তিগত শূন্যতার প্রতীকী রূপ ফুটে উঠেছে তার 'অগভীর শূন্যে' শিরোনামের সিরিজ আলোকচিত্রকর্মে।
আগে এই পুরস্কার যারা পেয়েছেন, তারা হলেন এসএ শাহরিয়ার রিপন (২০১১), কামরুজ্জামান (২০১২), মুনেম ওয়াসিফ (২০১৩), প্রীত রেজা (২০১৪), কেএম আসাদ (২০১৫), জয় কে রায় চৌধুরী (২০১৬), সুমন ইউসুফ (২০১৭), ফরিদা আলম (২০১৮), সালাহউদ্দিন আহমেদ পলাশ (২০১৯), রিয়াদ আবেদিন (২০২০), ইমন মোস্তাক আহমেদ (২০২১) ও মনন মুনতাকা (২০২২)।