আঙুল ফোটানো নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা
এমন অনেকেই আছেন যারা কাজের মাঝে আঙুল ফোটান। অন্যদের দিয়ে হাত-পায়ের আঙুল ফোটান এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন এই অভ্যাসের কারণে রোগে ভুগতে হতে পারে। কেউ কেউ ভাবেন আঙুল ফোটালে আরাম পেলেও এই অভ্যাসের কারণে বাতের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
তবে বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়ে স্পষ্ট জানেন না। সত্যিই কি আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয় কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ উঠে এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। অর্থোপেডিক্স প্রশান্তকুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আঙুল ফোটালে যা হয়:
আঙুল ফোটানো প্রসঙ্গে অর্থোপেডিক্স প্রশান্তকুমার বলেন, সাধারণত এতে কোনো সমস্যা নেই। দু-একবার আঙুল ফোটাতে পারেন। তাতে সমস্যার আশঙ্কা প্রায় থাকে না। তবে কেউ যদি প্রতিদিন একাধিকবার আঙুল ফোটান সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জয়েন্টের মধ্যে উপস্থিত থাকে সাইনুভিয়াল ফ্লুইড। এই ফ্লুইড দুটি হাড়ে ঘষা লাগতে দেয় না। কিন্তু মুশকিল হলো, জয়েন্টের মধ্যে সবসময় এই ফ্লুইড একই মাত্রায় থাকে না। কিছু সময় তা কমে যায়। আর সেই সময় যদি আপনি আঙুল ফোটান, তা হলে হাড়ে হাড়ে ঘষা লাগতে পারে। তার থেকে হতে পারে আর্থ্রাইটিস।
কখন সাবধান হবেন: বারবার আঙুল ফোটালে সেই জায়গায় প্রদাহ হতে পারে। হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। জায়গাটা ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি হতে পারে তীব্র ব্যথা। আর সে সময় আঙুল নাড়াতেও কষ্ট হয়। তাই এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সাবধান হন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার কারণে অনেকের হাড়ের অসুখ হয়। আর হাড়ের অসুখের কারণ এখন বার্ধক্য নয়। অনেক তরুণরাও এতে ভুগছেন। তাই হাড়ের শক্তি বাড়াতে হবে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।