নষ্ট হচ্ছে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সরকারি সম্পদ, চলছে অনৈতিক কার্যক্রম
অযত্মে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রেলের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে স্টেশনের কর্মকর্তা কর্মকারীদের জন্য তৈরি করা সরকারি বাস ভবন । পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে সেগুলো এখন ব্যবহার হচ্ছে মাদকসেবীদের কাজে, এছাড়াও রাত হলে চলে অনৈতিক কার্যক্রম।
পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদকসেবী ও ভাসমান পতিতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভবনগুলো ষ্টেশনের কর্মীরা ব্যবহার না করায় দিন দিন এদিকে যেমন নষ্ট মূল্যবান যন্ত্রাংশ তেমনি হরমেশাই চুরিও হচ্ছে। এছাড়া রেলওয়ে জায়গা বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অরক্ষিত এসব পরিত্যক্ত বাসাগুলোর টিন, লোহার যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। ভবনগুলো বহুদিন ধরে পরে থাকা অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সোহরাব আলী সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, রেলওয়ের বাসাগুলোতে রেলের লোকজন না থানায় এগুলো এখন ধংশ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালীরা বেদখল করে আছে। আর এসব ভবনে দিনে রাতে চলে মাদকসেবন, এমনকি সন্ধ্যা হলেই অনৈতিক কার্যক্রম চোখে পরে। বিশেষ তদারকির অভাবে এই ভবন গুলোর বেহাল দশা। রেলওয়ে কতৃপক্ষের এই ভবন গুলোতে বিশেষ নজরদারি করা দরকার।
উল্লাপাড়া রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের ফিল্ড কানুনগো আবু বক্কর এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ের জায়গা বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি এই কর্মস্থলে নতুন এসেছি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।
এ বিষয়ে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিরমল মন্ডলের কাছে বেদখল এবং পরিত্যক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেলের অনেক জায়গাতেই এই রকম আছে তবে আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। আর পরিত্যক্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো আসলো অনেকদিন ধরেই পরিত্যক্ত আছে , এছাড়া এ বাসা গুলো হলো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর লোকের জন্য। তাই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ বাসা ভাড়া নিলে তাদের বেতন থেকে অর্ধেক চলে যায়। বাসার যে আয়তন ৫০ ভাগ ভাড়া চলে গেলে সে পরিবার নিরুৎসাহী হয়। তবে ৫ শতাংশ হারে যদি এই বাসা গুলো ভাড়া দেওয়া যেত তাহলে এই বাসা গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতো না বলেও জানান তিনি।