বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ, পিপির সনদ স্থগিত

পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) নিলুফার শিরিনকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের আইনজীবী সনদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। ফলে তিনি এখন আইন পেশা পরিচালনা করতে পারবেন না।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান সভাপতিত্বে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রাজজ) মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলাপাড়ায় সংঘটিত একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা ও মামলার নথি পাঠান। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি বিচারকের কাছে আসামির জামিনের জন্য তদবিরও করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় বিচারক নিলুফার শিরিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তার বাসার গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে মামলার নথিপত্রসহ ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল পাঠান পিপি রুহুল আমিন।
অভিযোগে বিচারক নিলুফার শিরিন আরও উল্লেখ করেন, নারী ও শিশু বিষয়ক একটি মামলায় জামিনের বিষয়ে বিচারকের মোবাইল নম্বরে বারবার সুপারিশ করেছিলেন রুহুল আমিন। এছাড়া আলোচিত শহীদ জসিম উদ্দীনের মেয়ের ধর্ষণ মামলায়ও আসামিপক্ষের হয়ে যোগাযোগ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করেন, 'এভাবে ঘুষ পাঠানোতে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত অপমানিত এবং তীব্র রাগবোধ করছি। অফিসে গিয়ে আমি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা জজের সরকারি কৌঁসুলিকে বিষয়টি অবহিত করি ও প্যাকেটটি দেখাই। তারাও প্রচণ্ড রাগান্বিত হন এবং আমাকে বিষয়টি ছোট করে না দেখার পরামর্শ দেন। আমি আশা করি অভিযুক্ত পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments