ফ্যানের গতি কমানো-বাড়ানোর সঙ্গে কি বিদ্যুৎ বিলের সম্পর্ক আছে?
অনেকেই ধারণা করে থাকেন সিলিং ফ্যানের গতি কমালেই বিদ্যুতের বিল কমে। এক্ষেত্রে ফ্যানের রেগুলেটরের নম্বরগুলোর কম-বেশিতেও বিদ্যুতের বিল কমানো যেতে পারে। ফ্যানের স্পিড সর্বোচ্চ নম্বর থেকে কমিয়ে ৪ কিংবা ৩ নম্বরে আনলে ইলেকট্রিকের বিল কমতে পারে এমন একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু আসল সত্যিটা ঠিক কী? ফ্যানের গতি কমালেই কী আদৌ কমবে খরচ?
শীতের কয়েক মাস বাদ দিলে বছরজুড়ে প্রায় সব বাড়িতে ফ্যান চলে। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে সিলিং ফ্যানের বিকল্প নেই। রেগুলেটরের মাধ্যমে ফ্যানের স্পিড কম-বেশি করা যায়। এই ফ্যানটি একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে কাজ করে। ফ্যান চালালে যে শক্তি খরচ হয় তা গতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফ্যানের গতি কম করা মানেই হল এই মোটরের গতি কম করা।
ফ্যানের গতি কমানোর কাজ করে রেগুলেটর। অনেক রেগুলেটরে ০, ১, ২ ৩ করে ৫ পর্যন্ত কাঁটা রয়েছে। ১, ২, ৩ করে যত কাঁটার ঘর বাড়ালেই গতি বাড়ে ফ্যানের। এখন প্রশ্ন হলো- ফ্যানের রেগুলেটরের মাধ্যমে স্পিড কমালেই কি ইলেকট্রিক কম পোড়ে?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল 'না'। ফ্যানের স্পিড কমানোর সঙ্গে বিদ্যুতের বিল কম হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ফ্যানের রেগুলেটর ভোল্টেজ কমানোর মধ্য দিয়ে ফ্যানের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র। তবে, ফ্যানের স্পিড কমানোর মধ্য দিয়ে কোনোভাবেই বিদ্যুতের খরচ বাঁচানো যাবে না। সুতরাং, আপনার ফ্যান ৭-এ চললেও যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, আবার ২-৩ নম্বরে চালালেও ওই একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে।
তবে, ফ্যানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের রেগুলেটরগুলো বিদ্যুতের খরচ বাঁচায়। অবশ্য সাধারণ অন্য রেগুলেটরের চেয়ে এর দাম একটু বেশি। খোলা বাজারে প্রায় অধিকাংশ ইলেকট্রনিক্সের দোকানেই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর পেয়ে যাবেন। তাই নিতান্তই বাড়ির বিদ্যুতের বিল কমাতে হলে সিলিং ফ্যানগুলিতে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর লাগাতে পারেন।