শীতের শুরুতেই উল্লাপাড়ায় লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
শীতের আমেজ শুরু হতেই লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কারিগররা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। তবে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমসিম খাচ্ছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। উত্তরের জনপদ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভোরে ও সন্ধ্যা-রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে।
ফলে যে যার সাধ্যমতো শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাতে বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা বা লেপ। শিমুল তুলা গার্মেন্টস তুলায় বালিশ, লেপ ও তোষক বানিয়ে নিচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও গ্রামের নিন্ম আয়ের মানুষেরা।
উপজেলার প্রায়ই সব জায়গায়তেই এখন চোখে পড়ছে এসব তৈরির কাজ। লাল নীল বিভিন্ন রংয়ের কাপড়ে তুলা ভরে তৈরি করা হচ্ছে লেপ ও তোষক। নিপুন হাতে সুই আর সাদা সুতোয় সেলাই করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে লেপ ও তোষকের। শ্রমিকের হতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে লেপ তোষকের আকৃতি। আর দোকানিরা তা নিয়ে এসে থরে থরে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। প্রকার ভেদে একাকটা লেপ-তোষকের দাম ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লেপ-তোষকের দোকানিরা বিক্রেতার কাছ থেকে আগাম বায়না নিচ্ছে। অধিকাংশ গার্মেন্টস তুলায় এগুলো বেশি তৈরি হয়ে থাকে। কারণ তুলনা মুলক ভাবে গার্মেন্টস তুলার দাম কম। এই জন্য এই তুলা বেশি ব্যবহার হয়।
উপজেলার মোনপুর ইউনিয়নের ক্রেতা শফিকুল ইসলাম এসেছেন একটি লেপ বানানোর জন্য। তিনি বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে ঝাচাই করছেন কেমন দামদর। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সেই সকাল থেকে বিভিন্ন দোকানে একটি লেপ তৈরির বায়না করতে চাচ্ছি। কিন্ত দাম অনেক বেশি, গত বারের তুলনায় এবারে দুইগুন দাম বেশি। গতবারে যে লেপ তৈরি কিনেছি ১ হাজার টাকা এবারে সেই লেপ দাম চায় ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এতা দাম হওযায় আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
উল্লাপাড়া পৌরসভার ঘোষগাঁতী মোড়ে অবস্থিত মেসার্স নাজনী বেডিং সেন্টারের পরিচালক নাদিম হোসেন বলেন, লেপ তোষক তৈরির তুলা কাপড়ের দাম বাড়ায় এর বিক্রিও কমে গেছে। তবে শীতের শুরুতেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা আরও বাড়বে। সেই আশায় বসে আছি।