মাদক ও জুয়ার রমরমা ব্যবসা চলছে কালাচাঁদ ফকিরের ওরশে
পাবনার ঈশ্বরদীতে চলছে বাবা কালাচাঁদ ফকিরের ১৩ তম ওফাত দিবস। তবে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার, মাদক সেবন ও ব্যবসা। আর এসব বিষয়ে নিরব ভূমিকায় রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ওরশের চারপাশে তাবু বিছিয়ে প্রায় দুইশতাধিক মাদকের দোকান বসিয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভক্তরা। এসব দোকানে মাদক ও মাদক সেবনের যন্ত্রও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব ঝুপড়ি মাদকের দোকানে নানা বয়সি মানুষকে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। তবে উঠতি বয়সী তরুনদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মাদকাসক্তদের আনাগোনা বাড়তে থাকে এসব দোকানগুলোতে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত এসব মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, মাজার হলো মাদক সেবন ও বিক্রির সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। এখানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি করলেও কেউ কিছু বলবে না, একারনে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে এই স্থানকেই বেছে নিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে ওরশের নামে প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা ও মাদক সেবনের আসর বসে। এখানে ওরশের অনুমতি থাকলেও মাদক বেচা-কেনা কিংবা মাদক সেবনের কোন অনুমতি নেই। এসব দেখে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ৫ দিন ব্যাপি ওরশের নামে শুরু হওয়া এ মেলায় বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসেছে। এসব দোকানপাট থেকেও মাজারের নামে মোটা অংকের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মেলায় আগত দোকানদাররা।
এ ব্যাপারে মাজার কমিটির সভাপতি এসএম ফজলুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার রয়েছে সব জায়গাতেই গাঁজা খাওয়া হয়। কালাচাঁদের মাজারেও কিছু পাগল এসেছে। আমরা তাদের গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিলেও বিক্রি করতে নিষেধ করেছি। এখন তারা যদি বিক্রি করে তাহলে আমরা ঠেকাবো কি করে। তবে জুয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই বলে অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, জুয়া খেলার যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি এডিট করা বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, মাজার শরিফের ওরশে লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। সেখানে মাদক ও জুয়ার আসর বসে তা আমার জানা নেই। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।