সিঙ্গাপুরে ভ্যাপিং নিয়ে কঠোর শাস্তি ঘোষণা, ধরা পড়লেই বেত্রাঘাত

সিঙ্গাপুরে মাদক মিশ্রিত ভ্যাপের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার রোধে ভ্যাপিংয়ের জন্য কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে কঠোর জরিমানা, দীর্ঘ কারাদণ্ড এবং এমনকি বেত্রাঘাত। একই সঙ্গে এর জন্য বিদেশিদের নির্বাসন দেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম এবং শিক্ষামন্ত্রী ডেসমন্ড লি এ কথা জানান।
২০১৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে সিঙ্গাপুর ভ্যাপিং নিষিদ্ধ করে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শহর-রাজ্যে 'ইটোমিডেট' (একটি চেতনানাশক ওষুধ) মিশ্রিত ভ্যাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এটি দেশটিতে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যদিও সিঙ্গাপুরে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদক আইন রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে 'ইটোমিডেট-লেসড' ভ্যাপের ক্রমবর্ধমান প্রসারের কথা স্বীকার করেছে। এটি সিঙ্গাপুরে 'কেপড' নামে বেশি পরিচিত। ডাকনামটি 'কেটামাইন পড'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ এবং এটি ইটোমিডেটের কেটামিনের মতো প্রভাবকে বোঝায়।
জুলাই মাসে জব্দ করা ১০০টি ভ্যাপের একটি এলোমেলো নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এক তৃতীয়াংশের মধ্যেই ইটোমিডেট রয়েছে।
কিশোর এবং তরুণদের জনসমক্ষে ভ্যাপিং করার সময় উগ্র আচরণের ভিডিওগুলোও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এগুলো সিঙ্গাপুরবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। তাই অনেকেই মাদক পাচার এবং ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং বলেন, কঠোর আইন প্রয়োজন কারণ 'ভ্যাপগুলো অত্যন্ত গুরুতর পদার্থের অপব্যবহারের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে।' ডিভাইসগুলো হয়ে উঠেছে মাদকের 'ডেলিভারি ডিভাইস'।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কঠোর শাস্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে মাদক মিশ্রিত ভ্যাপ সরবরাহকারীদের ২০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১৫টি বেত্রাঘাত মারার শাস্তি হতে পারে।
এছাড়া কর্মরত বিদেশিরা একই শাস্তি পাশাপাশি আবাসিক এবং কর্মসংস্থানের অনুমতি বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। তাদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
এই নিয়ম পর্যটকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। বিবিসি জানায়, চাঙ্গি বিমানবন্দরজুড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে, যা আগত দর্শনার্থীদের ভ্যাপিং নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে ভ্যাপ ডিসপোজাল বিনও স্থাপন করা হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা জরিমানার আগে তাদের ডিভাইসগুলো ফেলে দিতে পারেন।
Comments