বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ই-ভিসা চালু করল যুক্তরাজ্য

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদেশি শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভিসার জন্য কাগজের নথিপত্রের পরিবর্তে ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে দেশটি। এর ফলে গত ১৫ জুলাই থেকে যারা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করেছেন, তারা পাসপোর্টে আর ভিসার স্টিকার বা ভিনিয়েট পাবেন না।
তবে, আপনি যদি শিক্ষার্থী ডিপেন্ডেন্ট হন অথবা স্পন্সরকৃত শিক্ষার্থী অথবা কর্মী ছাড়া অন্য কোনও ক্যাটাগরির ভিসার আবেদন করেন, তাহলে এখনও পাসপোর্টে স্টিকার ভিসা পাবেন।
দেশটির সরকার বলেছে, ভিসা স্টিকারের পরিবর্তে চালু হওয়া ই-ভিসা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত থাকবে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক রেসিডেন্স পারমিট (বিআরপি) বাতিল করে দিয়েছে এবং এর পরিবর্তে ই-ভিসা চালু করেছে।
একইভাবে আগামীতে বায়োমেট্রিক রেসিডেন্স কার্ড (বিআরসি) ও পাসপোর্টে সিল বা স্টিকার ভিসা—সব কিছুই ধাপে ধাপে ই-ভিসার মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হবে।
• কী পরিবর্তন হচ্ছে?
• বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ভিসা পেলে তাদের পাসপোর্টে আর কোনও স্টিকার (ভিনিয়েট) থাকবে না।
• ভিসার সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে একটি নিরাপদ ডিজিটাল অ্যাকাউন্টে, যেখান থেকে তা যেকোনও সময় যাচাই বা আপডেট করা যাবে।
• যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের কাছে কেবল পাসপোর্ট এবং ই-ভিসা অ্যাকাউন্টের তথ্য রাখতে হবে
• কারা এখনও স্টিকার ভিসা পাবেন?
• অধিকাংশ আবেদনকারী ই-ভিসা পাবেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিনিয়েট স্টিকার চালু থাকবে
• স্টুডেন্টদের ডিপেন্ডেন্ট (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান) আবেদনকারীরা।
যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলছে, এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো প্রবেশাধিকার সহজ ও নিরাপদ করা, এবং ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়া। ই-ভিসার মাধ্যমে যেকোনও সময়, যেকোনও স্থান থেকে ভিসা যাচাই বা তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ করা সম্ভব হবে।
Comments