চোখের সামনেই বাবার মৃত্যু, আত্মরক্ষার্থে গুলি করেন থেরনের মা

শার্লিজ থেরন হলিউডের একেবারে প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত। বহুল প্রশংসিত 'মনস্টার' সিনেমার জন্য অস্কার পেয়েছেন তিনি। দুটি নমিনেশনও রয়েছে তার ঝুলিতে। একেবারেই শুন্য থেকে উঠে এসেছেন শোবিজ জগতের লাইমলাইটে।
বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই তারকার ভারতেও রয়েছে অসংখ্য অনুরাগী। তবে গ্ল্যামারের এই উজ্জ্বল জগতে পা রাখার আগেই জীবন তাঁকে দেখিয়েছে অন্ধকারের ভয়াবহতম রূপ। দক্ষিণ আফ্রিকান এই অভিনেত্রী শার্লিজ থেরনের কিশোরবেলার স্মৃতি জুড়ে আছে এক বিভীষিকাময় রাত, যা আজও তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়।
১৯৯১ সালের ২১ জুন, তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। সেদিন রাতে তাঁর বাবা মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরেন। সঙ্গে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র। মাতাল অবস্থায় স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেন, এমনকি গুলি চালাতেও দ্বিধা করেননি। নিজেকে ও মেয়েকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেন থেরনের মা।
আত্মরক্ষার্থে চালানো সেই গুলিতেই মারা যান তাঁর বাবা
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনে আত্মরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে থেরনের মা পরে বেকসুর খালাস পান। এই ভয়াবহ ঘটনা সত্ত্বেও থেরন নিজের জীবনের ছন্দ হারাননি। শৈশবের ট্রমা বুকে নিয়ে শুরু করেন মডেলিং ক্যারিয়ার। এরপর অভিনয়ে পা রাখেন এবং বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেন তাঁর অভিনয় দক্ষতায়।ক্যারিয়ারের শুরুতে যে মেয়েটি ছিল ব্যথায় বিদ্ধ, তিনিই পরে অর্জন করেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান—অস্কার।
আজ অভিনেত্রী ৫১ বছরে পা দিলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই তারকা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছেন আরও পরিণত ও বলিষ্ঠভাবে। বয়স ও নারীর আবেদন নিয়ে হলিউডের প্রচলিত ধারণার কড়া সমালোচক থেরন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'পুরুষদের বেলায় বলা হয়—এজ লাইক ফাইন ওয়াইন। অথচ নারীদেরকে মনে করা হয় সময়ের সঙ্গে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া এক ছেঁড়া ফুল। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি ঘৃণা করি।'
তার সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি 'ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস' সিরিজের সর্বশেষ চলচ্চিত্র, যেখানে তাঁকে দেখা গেছে দুর্দান্ত উপস্থিতিতে। এছাড়াও সামনে বেশ কিছু বিগ বাজেটের প্রজেক্টে দেখা যাবে তাকে।
Comments