ব্যাংক শেয়ারে মুনাফা তোলার চাপে দরপতন

শেয়ারবাজারে টানা কয়েক দিনের উত্থানের পর আবার বড় দরপতন হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। কমেছে সব মূল্যসূচক। লেনদেনেও নেমে এসেছে ভাটা। এ পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস ও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শেয়ারবাজারে বড় উত্থান দেখা যায়। ডিএসইতে দীর্ঘদিন পর এক হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের ঊর্ধ্বে উঠে যায়। টানা উত্থানের পর আজ সোমবার বড় দরপতন হলো।
দিনের শুরু থেকেই বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারে বিক্রির চাপ দেখা দেয়। এর প্রভাবে সূচক নেমে যায় নিম্নমুখী ধারায়। সময় যত গড়িয়েছে, ব্যাংক খাতে পতন বাড়তে থাকে। এতে অন্যান্য খাতও চাপে পড়ে এবং দিনের শেষে সব সূচক পড়ে যায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, দিনশেষে ১২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৭টির, অপরিবর্তিত ছিল ৬৮টির। তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩০টির শেয়ারের দাম কমেছে, মাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে।
মূল্যসূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট কমে ৫,৪৮৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১,১৮৫ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২,১২৯ পয়েন্টে।
লেনদেনেও বড় ধস দেখা গেছে। আগের কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১,১৩৭ কোটি টাকা, সেখানে সোমবার তা নেমে এসেছে ৯১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ একদিনে লেনদেন কমেছে ২২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যমুনা ব্যাংকের শেয়ার। ৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। এরপর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩১ কোটি ১ লাখ এবং সিটি ব্যাংকের ২৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ওরিয়ন ইনফিউশন, উত্তরা ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, মালেক স্পিনিং ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও দরপতনের প্রভাব পড়েছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। সিএসইতে ৯০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১১৩টির কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। মোট লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, আগেরদিন লেনদেন হয় ২০ কোটি ৬ লাখ টাকা।
Comments