গোপালগঞ্জে বিনাধান-২২ জাতের প্রদর্শনী পর্যালোচনা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাত বিনাধান-২২ এর বিনাধান-১৭, ২৩, ব্রি-ধান-৭৫, ৮৭ ও ১০৩ জাতের প্রদর্শনী পর্যালোচনা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিজয়পাশা এলাকায় অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা। গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান এবং সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নির্মল কুমার দেসহ শতাধিক কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাঠ দিবসে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, উচ্চ ফলনশীল এ ধানের জীবন কাল ১১২ দিন থেকে ১১৫ দিন। জাতে খাটো হওয়ায় হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। বিঘায় এ ধান ২০ থেকে ২২ মন ফলন দিয়েছে। হেক্টরে ফলেছে ৬ টন। এ ধানে রোগ বালাই ও পোকার আক্রামন কম থাকায় উৎপাদন খরচ বিঘায় মাত্র ১০ হাজার টাকা। আগাম পাকায় শ্রমিক মূল্যও কম লাগায় কৃষকরা লাভবান হন। ক্ষেত থেকে এ ধান কেটে কৃষক মসুর বা সরিষা আবাদ করতে পারেন। এ ধানের বদৌলতে কৃষক একই জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪টি ফসল করতে পারবেন।
Comments