৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন; তফসিল বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
তিনি জানান, এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষের পথে। দ্রুতই প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী আচরণ বিধিও। চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় সচল করার কাজও প্রায় শেষ।
তিনি আরো জানান, শিগগিরই আমরা পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা হাতে পাবো। একটি মিটিং করে এ সপ্তাহের শেষের দিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, 'সর্বশেষ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিরও খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। তফসিল ও দ্রুত ঘোষণা করা হবে। তা হতে পারে এ সপ্তাহের শেষেই।'
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের প্রত্যাশার এই নির্বাচন। আমরা এটি আয়োজনে বদ্ধপরিকর। সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা তফসিল ঘোষণা করবো।'
চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন। কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী।
সদস্য হিসেবে আছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার, চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবীব, তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ বার নির্বাচনের আয়োজন করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ছাত্রসংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থান, কয়েক দফা সংঘর্ষ ও উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় আর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
Comments