আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সঠিক কথাটি বলতেই হবে: মাসুদ সাঈদী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সঠিক কথাটি বলতেই হবে। আপনাদেরকে সঠিক কথাটি বলতে হবে, তাতে কোন পরোয়া করা যাবে না। মাহফিলে লোক আসলো কি আসলো না, কার পছন্দ হলো কি হলো না এসব নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ নেই।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলা ওলামা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত "আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়ে মতবিনিময়" অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই? বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার আমাদেরকে নানান রকমের দমন নির্যাতনের মাধ্যমে আলেমদের সঠিক কথা বলতে দেয়নি। কিন্তু হকপন্থি সকল আলেমকে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ইমামতি কোন পেশা নয়। এটি একটি দাওয়াতি কাজ। আল্লামা সাঈদী মাহফিল করাকে কোনদিন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি এটিকে দাওয়াতি কাজ হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি অনেক জায়গায় যাওয়া আসার খরচও পাননি কিন্তু তারপরও তিনি এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি। আমাদেরকেও ইসলামের কথা বলাকে দাওয়াতের কাজ হিসেবে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ৭১ সালের অপরাধের বিচার মূল উদ্দেশ্য নয়, জামায়াত ইসলামীর অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে বিগত ফেসিস্ট সরকার ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, পারেনি। সুতরাং কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই দেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।
যুদ্ধাপরাধিদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ৭১ সালে কোন অপরাধ করে থাকতেন, তাহলে বিগত এতগুলো বছর বিচার করা হয়নি কেন? তাদের বিরুদ্ধে তো কোন থানায় একটি মামলাও করা হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই জামায়াত নেতৃবৃন্দ অপরাধ করেছিলেন, তাহলেও প্রশ্ন হল তারা এই ছয় জনই কি লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা এবং মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের কাজ করেছেন? এই ছয়জনই কি অপরাধ করেছিলেন? যদি এই অপরাধে আরো কেউ জড়িত থেকে থাকেন, তারা কারা? এসবের কোন সদুত্তর নেই। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটা নাটক ছিল।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোঃ বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা রাকিবুল হাসান এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক শেখ, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওলামা বিভাগীয় সভাপতি সেক্রেটারিসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Comments