গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবেঃ চট্টগ্রামে এনসিপির নেতারা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে এনসিপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তবে যান চলাচলে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
বিক্ষোভে এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও অংশ নেন। সমাবেশে 'মুজিববাদ-মুর্দাবাদ, মুজিববাদের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না, সারা বাংলায় খবর দে-মুজিববাদের কবর দে'– এমন আরও নানা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা চালিয়েছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, 'গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে। তারা খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।
এর আগে, বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
Comments