'ঢাকার সোহাগ খুনের দায় দায়িত্ব তারেক জিয়া, মীর্জা ফখরুল ও প্রশাসনকে নিতে হবে'

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ঢাকার সোহাগ খুনের দায় দায়িত্ব তারেক জিয়া, মীর্জা ফখরুল ও প্রশাসনকে নিতে হবে।
শনিবার বিকেলে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা মহানগরের আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখনই চাঁদা ধরা পড়ে তখনই বহিষ্কার করা হয়। বিএনপি এ পর্যন্ত ৩ হাজারের উপর বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বহিষ্কারের চাঁদা , খুন, জুলুম ফেরেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বহিষ্কার আসলে কিছুই না, আই ওয়াশ, লোক দেখানোর নিয়ম। তারা বলে ব্যক্তি দোষ করলে দল তার দায় দায়িত্ব নেবে না। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ বিএনপি দুর্নীতি, খুনের ফ্যাক্টরি।
তিনি আরো বলেন, আবরারকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু এই ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার পর তারা খুনি হয়েছে। আজকে হাজারো মেধাবীরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি করার কারণে ধর্ষক হয়েছে চাঁদাবাজ হয়েছে।
মিটফোর্ডে ঘটনায় মামলা দেওয়া হয়েছে কিন্তু পুলিশ গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন পুলিশ এই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনা প্রকাশ না হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি। চাঁদা নিলে পুরস্কার ধরা পড়লে বহিষ্কার, আর ভাইরাল হলে গ্রেফতার বলে মন্তব্য করেন শায়েকে চরমোনাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন, এক আবু সাঈদ, হত্যায় আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে ফেলেছে আর এক সোয়াগ হত্যায় বিএনপির মসনদও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
তিনি ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বলেন, জুলুমুক্ত দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে দেশে চাঁদাবাজি থাকবেনা জুলুম থাকবে না নারী ধর্ষিত হবে না। এমন এক দেশের জন্য চেষ্টা কর। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশী পারবে এই দেশকে একদিন মুক্তি দিতে।
পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের আয়োজনে নগরী সদর রোডে ঢাকার মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার ঘটনা ও দেশ ব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম সহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়।
Comments