দোসররা সরকারে ঘাপটি মেরে আছে, তারা অন্যায়কারীদের গ্রেপ্তার করছে না: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, বিএনপি মব ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করে না। সরকারের ভেতরে আওয়ামী দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাই তারা অন্যায়কারীদের গ্রেপ্তার করছে না। রোববার সিলেট মহানগর বিএনপির বিশেষ সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মব ভায়োলেন্স শুরু করেছে কে, কারা? প্রশ্ন রেখে ডা. জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেউ মবের সাথে সম্পৃক্ত নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা খুঁজে দেখেন, আপনাদের পত্রিকার পাতাগুলো উল্টান। তাহলেই মব ভায়োলেন্সের সাথে জড়িতদের খুঁজে পেয়ে যাবেন, পরিচয় জেনে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা মব ভায়োলেন্স করতে অভ্যস্ত, তারা এই সমস্ত ঘটিয়েছে। এবং সেই সমস্ত লোকদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সভ্য সমাজের জন্য অতীব জরুরী। তা না হলে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়াকে বিএনপি প্রশ্রয় দেয় না, সমর্থন করে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কতিপয় লোক দিয়ে মিছিল করানো হচ্ছে। আমাদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে? বিএনপি কারো উস্কানিতে পা দিবে না। দেশে একটি সরকার আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, আইন-আদালত আছে। তারা কী করছে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য বিএনপি প্রস্তুত। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত আছে-যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর মিডফোর্ডে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, যারা মব ভায়োলেন্স করতে অভ্যস্ত তারা এইসব ঘটিয়েছে। সেই সমস্ত লোকদের গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা অতীব জরুরী। তা না হলে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী, এমএ মালেক, কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রমুখ।
Comments