চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেতেই চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের দিকে মিছিল করে একদল ছাত্র জনতা। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে হামলার চেষ্টাও করে তারা। নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, একটি পক্ষ সেখানে আন্দোলন শেষ করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০-এর দিকে নগরীর জিইসি মোড়ের দিকে চলে যায়। সেই দল চলে আসার পর ১০ মিনিটের মতো পরিস্থিতি শান্ত থাকে। এরপর সেখানে আরেকটি পক্ষ আসে, ছাত্র-জনতার নামে তারা বাসভবনের সামনে সড়কে বসে পড়ে এবং যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
অবস্থানে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রদের। একপর্যায়ে ছাত্ররা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং পুলিশের ওপর রেগে গিয়ে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ সময় ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাসভবনের সামনে সেনাবাহিনী ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম সিএমপি পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ আসেন। তিনি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
হাসিব আজিজ বলেন, এটি হামলা নয়। একদল বস্তির পোলাপান আসে। ইতোমধ্যে আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার। পুলিশের দক্ষতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হঠাৎ বস্তি থেকে ৪০-৫০ জন এসে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। সেখান থেকে কয়েকটি পাথর গেটের ভেতরে ঢুকে। তখন গেটের বাইরে পুলিশ অবস্থান নেয় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Comments