লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: এ্যানি
যারা লকডাউন দিচ্ছে আর যারা 'বেহেশতের টিকেট দিতে চায়' তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেছেন, 'যেটা ৮৬ সালে হয়েছিল, ৯৬ সালে হয়েছিল। এরা ১৭২ দিন হরতাল অবরোধ করে মানুষকে জিম্মি রেখে দেশের ক্ষতি করেছে। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এখন আবার লকডাউনের নামে এআই দিয়ে মিছিল-মিটিং দেখায়। তাদের কিছু কর্মী আছে গুপ্তভাবে। এ গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে ভেতরে বাহিরে আজকে তারা বোমা হামলা করে, গাড়িতে আগুন দেয়।'
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বড়ালিয়া বিদ্যালয় মাঠে নারী ভোটারদের নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের জন্য একটি দল বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে এ্যানি বলেন, 'এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দল, ঢাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে হাতেনাতে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করার পর দেখে যে এটা শিবির কর্মী। ঘটনা কী? গভীর ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, নির্বাচন যেন না হতে পারে। তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, নির্বাচনটাকে বন্ধ করে দিতে চায়। কারণ তাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে- হিসাব আছে, নির্বাচন হলে গণমানুষের দল ক্ষমতায় আসবে, নির্বাচন হলেই বিএনপি আসবে। নির্বাচন হলেই জিয়ার দল আসবে, নির্বাচন হলেই খালেদা জিয়া আসবে, নির্বাচন হলেই তারেক রহমান আসবে। তাদের এটা ভালো লাগে না। তাদের পছন্দ না। তারা গুপ্ত রাজনীতি করে। দেশের বাহিরে বসে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি করছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।'
গুপ্ত রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই ইসলামিক দলকে বলবো- নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ার চিন্তা করেন। মানুষের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। গুপ্ত রাজনীতি করবেন না। স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসেন। অপব্যাখ্যা দেবেন না। অপপ্রচার করবেন না। হাসিনা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি। ২৮ অক্টোবর, ১০ ডিসেম্বর এই দেশে কার কি ভূমিকা ছিল সেটা মানুষ দেখেছে। আপনাদের অনেক সিনিয়র নেতা বিভিন্নভাবে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, অনেক সিনিয়র নেতা ফাঁসির মঞ্চে ঝুলেছে। সেই দিকগুলো বিবেচনা করে স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম ইউছুফ ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার শিমু ভূঁইয়া প্রমুখ।
Comments