কাঠগড়ায় ইনুকে ‘বুকে বল’ রাখতে বললেন দীপু মনি
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে সাহস যুগিয়ে বুকে বল রাখার কথা বলেছেন সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি। বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-১ এ কাঠগড়ায় ইনুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, 'বুকে বল রাখেন, মনোবল হারায়েন না।'
এর আগে সকালে জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক এমপি শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
তিন মাস পর বুধবার একসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনায় হাজতখানা ও কাঠগড়া যেন পুনর্মিলনী কেন্দ্রে পরিণত হয়। এ সময় হাসানুল হক ইনু দীপু মনিকে বলেন, এরপর থেকে আমার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ অনুষ্ঠিত হবে। তখন হয়তো আর দেখা হবে না। উত্তরে দীপু মনি বলেন, 'বুকে বল রাখেন, মনোবল হারায়েন না।' একই সময় তাদের পাশে থাকা শাহজাহান খান বলেন, 'এদের কত নাটক দেখবো, চারিদিকে শুধু নাটক।'
পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ৮ জানুয়ারি মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর আইনজীবীদের সঙ্গে কিছুসময় কথা বলার পর খাওয়া-দাওয়া শেষে কারাগারে উদ্দেশে রওনা দেন আসামিরা।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক অবস্থায় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেয়া হয়।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ১৯ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ওইদিন এ ঘটনা তদন্তে আরও তিন মাস সময় চান প্রসিকিউশন। পরে ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিও ১২ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ আসামিকে হাজির করা হয়েছিল। পরে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
Comments